জাপানী ইয়েনের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 142.38 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি ডলার বিক্রি করিনি। আমি মার্কেটে এন্ট্রি করার জন্য আর কোনো এন্ট্রি সিগন্যালও পাইনি।
অদ্ভুতভাবে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে নতুন শিরোনাম আসা সত্ত্বেও, মার্কেটে এক ধরনের স্থবিরতায় সৃষ্টি হয় যেন ট্রেডাররা কোনো ঘোষণা বা নিশ্চিত ফলাফলের অপেক্ষায় আছে। এমনকি জাপানের মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদনও এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেনি। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে জাপানের কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) 3.7% থেকে কমে 3.6% হয়েছে। তবে তাজা খাদ্য বাদ দিয়ে তৈরি করা কোর সিপিআই 3.0% থেকে বেড়ে 3.2% হয়েছে।
এই মিশ্র ফলাফল কিছুটা উদ্বেগের জন্ম দেয়, যা দেশটির ভোক্তা মূল্যের অসম ধারাকে প্রতিফলিত করে। সাধারণ ভোক্তা মূল্য সূচক হ্রাস পেলে সেটি ভোক্তা চাহিদার দুর্বলতা বা মূল্যস্ফীতি হ্রাসের পদক্ষেপের কার্যকারিতা নির্দেশ করতে পারে। তবে তাজা খাদ্য বাদে বিবেচিত কোর সিপিআইয়ের বৃদ্ধি অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টরে স্থায়ী মুদ্রাস্ফীতির চাপ নির্দেশ করে, যা সাধারণ সূচকটির পতনের ইতিবাচক প্রভাবকে ছাপিয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতি ব্যাংক অব জাপানের আর্থিক নীতিমালার ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। একদিকে, ভোক্তা মূল্য সূচকের হ্রাস ব্যাংকটিকে কিছুটা ধৈর্যশীল অবস্থান গ্রহণ করতে প্ররোচিত করতে পারে। অন্যদিকে, কোর সিপিআইয়ের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ব্যাংক অব জাপানকে সুদের হার আরও বাড়াতে উৎসাহিত করতে পারে—যার প্রত্যাশায় অনেক ট্রেডার ডলার বিক্রি করে ইয়েন কিনছে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 143.14-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 142.50-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 143.14-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 142.20-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 142.50 এবং 143.14-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 142.20-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে 141.76-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস বাউন্সের আশা করছি। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 142.50-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 142.20 এবং 141.76-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।