সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শুরু হয়েছে। রাতারাতি ইউরোর মূল্য 100–120 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং দিনের বাকি সময় এই পেয়ার কিছুটা শান্তভাবে ট্রেড করেছে। সপ্তাহান্তে এমন কোনো ইভেন্ট বা খবর ছিল না যা এমন মুভমেন্টের কারণ হতে পারে। তবে, অবশ্যই এটা ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ব্যাপার নয়, বরং মার্কিন ডলারের ক্রমাগত দরপতনই আসন বিষয়। কিন্তু ডলারের দরপতনে আর অবার হওয়ার মতো বিষয় নয়। ট্রাম্পের অবস্থান একইরকম রয়েছে: হয় যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি অর্থ দাও, না হয় শুল্ক, নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদির মুখোমুখি হও। তাই সোমবার ডলার বিক্রির কোনো স্পষ্ট কারণ না থাকলেও সামগ্রিকভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ডলার বিক্রি করেই চলেছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে সোমবার বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে মূল মুভমেন্টটি হয়েছে এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে। টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, রাতের বেলা ট্রেডাররা বাই ট্রেড ওপেন করতে পারতেন, কারণ মূল্য 1.1395–1.1413 এলাকার কাছাকাছি থেকে রিবাউন্ড করেছে। দিনের বাকি অংশে, 1.1571 লেভেল থেকে একটি কার্যকর এবং স্পষ্ট বাউন্স দেখা গেছে, এবং আরেকটি বাউন্স হয়েছে 1.1474–1.1481 জোন থেকে। 1.1513–1.1535 জোনের মধ্যে ট্রেড ওপেন করা যৌক্তিক ছিল না, কারণ এটি খুব সংকীর্ণ এবং একটি শক্তিশালী রেঞ্জ হিসেবে কাজ করছিল। রাতেরবেলা মূল্য আবারও 1.1474–1.1481 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছে, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য আরেকটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দিয়েছিল—যদি তারা রাতে ট্রেড করে থাকে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এক সপ্তাহের কনসোলিডেশনের পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মাধ্যমে নতুন সপ্তাহটি শুরু হয়েছে। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক আরোপ এবং বাড়াতে থাকলে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে আগ্রহী। যখন নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হয়, ডলারের দরপতন ঘটছে। আর যখন কোনো শুল্ক সংক্রান্ত খবর থাকে না, তখন মার্কেট স্থবির থাকে—যেমনটা গত সপ্তাহে হয়েছে।
মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখন নতুন শুল্ক সংক্রান্ত শিরোনাম বা উত্তেজনার প্রয়োজন বোধ করছে না। আমরা আগেও সতর্ক করেছিলাম, যে কোনো সময় এই পেয়ারের মূল্য "বৃদ্ধি" পেতে পারে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1189–1.1191, 1.1275–1.1292, 1.1330, 1.1395–1.1413, 1.1474–1.1481, 1.1513–1.1535, 1.1571, 1.1607–1.1622, 1.1666, 1.1689।
মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে সোমবারে আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পেয়েছি যে, কোনো খবর ছাড়াই মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।