১. একটি মাত্র অ্যাসেটের উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ
বিনিয়োগকারীদের সাধারণত তাদের পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যময় করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু অধিকাংশ বিলিয়নিয়াররা তাদের মূল সম্পদ মূলত একটি অ্যাসেটেই বিনিয়োগ করেন — যা সাধারণত, তাদের নিজেদের কোম্পানির শেয়ার হয়ে থাকে। যেমন, ল্যারি পেজ ও সার্গেই ব্রিন গুগলের স্টকে বিনিয়োগ করেন, জেফ বেজোস অ্যামাজনে বিনিয়োগ করেন, মার্ক জাকারবার্গ মেটায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করছেন এবং ওয়ারেন বাফেট এখনো তার ৯৯% সম্পদ বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের শেয়ারে বিনিয়োগ করে রেখেছেন। ফলে বোঝা যাচ্ছে সাফল্য মূলত গভীর আত্মবিশ্বাস ও দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আসে, বিভিন্ন অ্যাসেটে বিনিয়োগের মাধ্যমে নয়।
২. দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি
বিলিয়নিয়ারদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধৈর্য। তাদের অনেকেই রাতারাতি সফল হননি; বরং বছরের পর বছর ধরে তাদের কোম্পানির নিয়ন্ত্রণমূলক অংশ ধরে রেখেছেন, নানা সংকট ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছেন। বিল গেটস ও স্টিভ বলমার ৪০ বছর আগে মাইক্রোসফট গড়ে তুলেছিলেন। জেফ বেজোস, জাকারবার্গ, পেজ ও ব্রিন গত দুই দশকে ইন্টারনেটের উত্থান দেখেছেন, কিন্তু এই সাফল্য এসেছে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম ও ভবিষ্যতের ওপর বিশ্বাস রাখার মাধ্যমে।
৩. নিজেদের ব্যবসায়ই বাজি ধরা
বেশিরভাগ বিলিয়নিয়ার শুধুমাত্র সফল ব্যবসায় বিনিয়োগই করেন না, তারা সেগুলো নিজেরাই শুরু করেন। এতে তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কোম্পানির কার্যক্রম কৌশলগতভাবে সমন্বয় করতে পারেন, বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন এবং কোম্পানির মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুঁজি বাড়াতে পারেন। ওয়ারেন বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে প্রতিষ্ঠা না করলেও, তিনি এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এটিকে একটি ইনভেস্টমেন্ট জায়ান্টে রূপান্তর করেন। তার উদাহরণ প্রমাণ করে, সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষ ব্যবস্থাপনাই বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পারে।
৪. প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা
ব্যবসা হচ্ছে টিকে থাকার যুদ্ধ, এবং বিলিয়নিয়াররা এই খেলায় প্রবল প্রতিযোগিতার মানসিকতা নিয়ে নামেন। তারা শুধু সফল হতে চান না, বরং চূড়ান্ত নেতৃত্ব চান—যেখানে কোনো আপসের সুযোগ নেই। এর একটি উদাহরণ হচ্ছেন মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও স্টিভ বলমার, যিনি তার আগ্রাসী মনোভাবসম্পন্ন ব্যবস্থাপনা ও জয়লাভের জন্য অদম্য আগ্রহের জন্য বিখ্যাত। তার আবেগপূর্ণ সম্পৃক্ততা এবং সাফল্যের প্রতি অগাধ বিশ্বাস মাইক্রোসফটকে বাজারে আরও মজবুত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল।
৫. প্রযুক্তির ওপর মনোযোগ
বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন বিলিয়নিয়ারের মধ্যে ৮ জনই প্রযুক্তি খাত থেকে তাদের সম্পদ অর্জন করেছেন। এমনকি ঐতিহ্যগত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা ওয়ারেন বাফেটও অ্যাপলের একটি বড় অংশের মালিক। প্রযুক্তি দুটি প্রধান সুবিধা দেয়: বৈশ্বিক বাজার এবং উচ্চ লাভজনকতা। ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির বিপরীতে, টেক জায়ান্টরা তুলনামূলকভাবে কম খরচে কাজ সারতে পারেন। কারখানা নির্মাণ বা হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ ছাড়াই তাদের পণ্য মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যবহারকারী আকর্ষণ করে, ফলে প্রযুক্তি খাত সবচেয়ে লাভজনক ও দক্ষ বিজনেস মডেল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
6. বিকাশের প্রতি অদম্য আকাঙ্ক্ষা
বিলিয়নিয়াররা কখনো থেমে থাকেন না—তারা ক্রমাগত শেখেন, নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করেন এবং পরিবর্তনশীল দুনিয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেন। ওয়ারেন বাফেট প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা পড়াশোনা করেন, যাকে তিনি কৌশলগত চিন্তার একটি হাতিয়ার মনে করেন। ইলন মাস্ক এখনও পদার্থবিদ্যা, প্রোগ্রামিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই জ্ঞান অন্বেষণের প্রবণতা তাদের অপ্রচলিত সমাধান খুঁজে পেতে, প্রবণতার পূর্বাভাস দিতে ও এক ধাপ এগিয়ে থাকতে সাহায্য করে।
7. দান করার মানসিকতা
দানশীলতাও ধনকুবরদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। ২০১০ সালে, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস “দ্য গিভিং প্লেজ” নামক উদ্যোগ শুরু করেন, যা বিশ্বের ধনীদের তাদের সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দান করতে উৎসাহিত করে। এরপর মার্ক জাকারবার্গ, অলন মাস্ক, ল্যারি এলিসনসহ আরও বহু শীর্ষ ধনী এতে যোগ দেন।
-
Grand Choice
Contest by
InstaForexInstaForex always strives to help you
fulfill your biggest dreams.প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
চ্যান্সি ডিপোজিটআপনার অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করুন এবং $1000 এর অধিক নিন!
চ্যান্সি ডিপোজিট প্রচারাভিযানে আমরা এপ্রিল $1000 লটারি করেছি! একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করে এই অর্থ জেতার একটি সুযোগ নিন! এই শর্ত পূরণ করে, আপনি একজন অংশগ্রহণকারী হতে পারবেন।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেড করুন, ডিভাইস জিতুনআপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে $৫০০ টপ আপ করুন, প্রতিযোগিতার জন্য সাইন আপ করুন এবং মোবাইল ডিভাইস জেতার সুযোগ পান।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন